ঘরে ঘরে এখন শুধু চিকুনগুনিয়া, যা বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। চিকুনগুনিয়া অসহনীয় ব্যথা এবং তীব্র যন্ত্রণাদায়ক একটি ভাইরাসজনিত জ্বর। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, বাস-ট্রেন, আড্ডা এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এখন শুধু একই আলোচনা। হঠাৎ করে এরোগের প্রকোপ এত বেড়ে গেছে যে, মানুষের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক বিরাজ করছে। একই পরিবারের কারো হলে অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগটি মহামারী না হলেও এটা যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই।
ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাসের মতো চিকুনগুনিয়া ভাইরাসও এডিস ইজিপ্টাই ও এডিস অ্যালবোপিক্টাস মশার কামড়ের মাধ্যমে মানব শরীরে প্রবেশ করে। এডিস এমন এক ধরণের মশা যা ঘরোয়া পাত্রে বংশ বিস্তার করে এবং দিনের বেলায় কামড়ায়। মশাগুলোর শরীরের ও পায়ের সাদা কালো ডোরাকাটা দাগ দেখে সহজেই চেনা যায়। চিকুনগুনিয়া ভাইরাস মানবদেহ থেকে মশা এবং মশা থেকে মানবদেহে ছড়ায়। মশা কামড় দেয়ার ৪ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। চিকুনগুনিয়া রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। উপসর্গ বা লক্ষণের ভিত্তিতে এর পরিচর্যা করা হয়।
এই রোগ প্রতিরোধের কার্যকরী এবং অনুমোদিত কোনো টিকা (ভ্যাকসিন) নেই। ব্যক্তিগত সচেতনতা এবং মশার কামড় থেকে সুরক্ষাই হল চিকুনগুনিয়া ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের প্রধান উপায়। শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঢেকে রাখা (ফুল হাতা শার্ট এবং ফুল প্যান্ট পরা), জানালায় নেট লাগানো, প্রয়োজন ছাড়া দরজা জানালা খোলা না রাখা, ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা, শরীরে মশা প্রতিরোধক ক্রিম ব্যবহার করার মাধ্যমে মশার কামড় থেকে বাঁচা যায়। বাড়ির আশেপাশে পানি জমতে না দেয়া এবং এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করাই এই রোগ প্রতিরোধের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
বর্তমানে চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো আরো একটি উপায় হল বাসা এবং অফিসে কিছু আধুনিক কীট-পতঙ্গ বিতাড়ক এবং নির্মূল ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা। এই সকল মশা বিতাড়ক এবং নির্মূল ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণভাবে এডিস মশা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবেন।
আজই অনলাইন শপ পিকাবু থেকে এই সকল মশা বিতাড়ক এবং নির্মূল ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামসমুহ অর্ডার করে আপনার এবং আপনার পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।